Logo

 

সিসিবিভিও এর প্রকল্প সমূহ

রাজশাহীর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির রক্ষাগোলা গ্রাম ভিত্তিক স্থিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচী ।

এই প্রকল্পটি রাজশাহী জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর স্থিতিশীল খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ জীবন জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে। প্রকল্পটির কর্ম-এলাকা রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলাধীন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫০ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এটি বরেন্দ্র অঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশের অপরাপার অঞ্চলের চেয়ে বরেন্দ্র অঞ্চল আর্থ-সামাজিকভাবে পশ্চাৎপদ। বৃষ্টি নির্ভর কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের মানুষের মূল পেশা কৃষি এবং প্রধান ফসল ধান। জাতীয় প্রেক্ষিত বিবেচনায় এখানে উৎপাদন হার তুলনামূলক ভাবে কিছুটা কম। অধিকন্তু বরেন্দ্র অঞ্চল খরা প্রবণ বলে এটি দেশের দারিদ্র পীড়িত পশ্চাৎপদ অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উৎপাদিত শষ্য বাজারজাত করণের ক্ষেত্রে এখনো যথেষ্ঠ পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন জরিপ থেকে জানা যায় যে, বরেন্দ্রের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৭% পরিবার ভূমিহীন, ৫% প্রান্তিক কৃষক, ৩% মধ্য কৃষক, ২% ধনী কৃষক এবং ৩% পরিবার অন্যান্য পেশায় জড়িত। এই আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় এখানকার অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের অবস্থান দারিদ্র সীমার নীচে ফলে এদেরকে কষ্টকর জীবন যাপন করতে হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পশ্চাদপদ সমাজ ব্যবস্থা ও সামাজিক বৈষম্যের কারণে তারা প্রত্যহ খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষায় অনিশ্চয়তা এবং সাংস্কৃতিক বঞ্চনার শিকার, অধিকন্তু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভূমিহীন লোকেরা বছরে প্রায় তিন মাস কাজের অভাবে বেকার থাকে। উল্লিখিত আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এদের উন্নয়নের জন্য বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সিসিবিভিও “রক্ষাগোলা মডেলটি” উদ্ভাবন করেছে এবং বরেন্দ্র অঞ্চলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহের স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে।

মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও নৈতিক শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্প

ক্ষুধা ও দারিদ্রপিষ্ট বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দারিদ্র হ্রাসকরণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে; তথাপি আমরা দারিদ্রমুক্ত হতে পারছি না । কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমাদের বিপুল সংখ্যক জনসমষ্টির মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য যতটুকু পণ্য ও সেবা উৎপাদন করা প্রয়োজন তা আমরা জাতীয়ভাবে করতে সক্ষম হচ্ছি না । এই অসামর্থ্যতার পিছনে অন্যতম যে কারণ, আমাদের দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজ্ঞান মনস্ক দক্ষ কর্মীর অনুপস্থিতি। এর ফলে আমরা আমাদের দেশে যে কাঁচামাল ও প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো রয়েছে তা ব্যবহার করে প্রয়োজন মত কৃষি, শিল্প, খনিজ সম্পদ ও সেবা উৎপাদন করতে পারছি না । ফলে আমাদের দেশের নূন্যতম চাহিদা পূরণে অর্থনৈতিক দারিদ্র থেকেই যাচ্ছে । বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের সার্বিক শিক্ষার হার কিঞ্চিত বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান শিক্ষার হার আশংকাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে: এমনকি মাধ্যমিক পর্যাযের বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে । বিভিন্ন গবেষণা তথ্য থেকে হ্রাস প্রাপ্তির পিছনে যে সব কারণ ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা গেছে তাহলো: • মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নিষ্ক্রিয়তা । • অপর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষক সংকট । • শিক্ষার্থীদের নিকট বিজ্ঞান শিক্ষা ও পাঠ্যসূচী জটিল বোধ হওয়া । • ব্যবহারিক শিক্ষায় বাস্তবসম্মত/সহজবোধ্য পদ্ধতি, সীমাবদ্ধতা ও পরীক্ষাগার সামগ্রীর স্বল্পতা । • হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার অবকাঠামোগত ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা । • বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের গুণগত মান উন্নয়নে ব্যর্থতা । ফলে বিজ্ঞান শিক্ষার এই পরিস্থিতিতে দেশের সার্বিক উৎপাদন ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে । এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে । বিধায় সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ভলান্টারী অর্গানাইজেশন (সিসিবিভিও) মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান শিক্ষার উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে । বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশন (বিএফএফ) ঢাকার সহায়তা নিয়ে সিসিবিভিও “মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার উন্নয়ন” প্রকল্প গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলার ৩১ টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করছে ।

চলমান প্রকল্প সমূহ

সমাপ্ত প্রকল্প সমূহ

আসন্ন প্রকল্প সমূহ


 

NGO সমূহ