Logo

 
Logo

এডাব সম্পর্কে

সংিক্ষপ্ত বিবরণ: এডাব প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। শুরুতে এর নাম ছিল এডাব অথাৎ এসোসিয়েশন অব ভলান্টারী এজেন্সিজ ইন বাঙলাদেশ। পরবর্তীতে সরকার কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রতি বেশী মনযোগী হলে বেসরকারী উন্নয়ন সঙগঠনসমূহও তাদের কেৌশল পরিকর্তন করে সরকারের উদ্যোগবক সফল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কথন এই সঙস্থার নাম পরিবর্তন করে করা হয় এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট এজন্সিজ ইন বাঙলাদেশ, যার সঙক্ষিপ্ত রুপ ছিল এডাব। এদিক বেসরকারী উদ্যোগ বৃদ্ধি ও এর সাথে বিদেশী সহায়তা যুক্ত হতে থাকলে বাঙলাদেশে এনজিওর সঙখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে সঙশ্লিষ্টরা এনজিোসমূহের একটি সমন্বয়কারী সঙগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে ১৯৮৩সালে এই সঙস্থাটির আরেক দফঅ নাম পরিবর্তন করে সঙক্ষিপ্ত নামের সাথে মিল রেখে নামকারণ করা হয় এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাঙলাদেশ (এডাব)। যা এনজিও বিষয়ক ব্যুরোতে নিবন্ধিত হয়ে বাঙলঅদেশে এনজিওদের সমন্বয়কারী ো প্রতিনিধিত্বকারী সঙগঠন হিসেবে কাজ করতে থাকে। পরবর্তীতে সোসাইটি এ্যাক্টের অধীনে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির অধীনে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য আরেকবার নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন দেখা দিলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সতবিনিময়ের মাধ্যমে সদস্যগন ঐক্যমত হন যে, যেহেতু এনজিওদের সমন্বয়কারী সঙহঠন হিসাবে এডাব নামে সঙস্থাটি স্থানীয়, জাতীয় এবঙ আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিকি লাভ করেছে। সেহেতু নিবন্ধনের সুবিধার্তে এডাব সোসাইটি নামে নামকরণ করা হোক। যা এডাব নামে সর্বমহলে পরিচিত হবে। তাই সর্বশেষ ২০১৩ সালে এডাব সোসাইটি নামকরণ করা হয়, যা এডাব নামে সর্বমহলে পরিচিত। এটি এনজিওদের বৃহত্তম সমন্বয়কারী সঙস্থা শুধু নয়, কালের বিচারে প্রথমও বটে। মূলত অল্পনঙখ্যক বিদেশি সঙস্থার উদ্যোগে সীমিত পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও সপ্ল সময়ের ব্যবধানে এডা্ব উন্নয়ন কার্যক্রমে নিয়োজিত বেসরকারী স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সঙস্থাসমূহের শীর্ষ সমন্বয়কারী সঙস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরু থেকেই এডাব ্নজিোদের কাজের সহায়ক পরিবেশ তৈরী এবঙ সদস্য সঙস্থাসমূহের দক্ষতার উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে তৃণমূল পর্যায়ে কমূরত স্থানীয় সঙস্থা্সমূহকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, প্রারম্ভিক তহবিল, কারিগরি সহায়তা প্রদান, প্রকল্প প্রস্থাবনা প্রণয়ন এবঙ এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে অনুমোদন পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে এডাব সদস্য সঙস্থাসমূহকে সহায়তা করত। সরকার এবঙ দাতা সঙস্থাসমূহের সঙ্গে স্থানীয় এনজিোদের সরাসরি যোগাযোগ এবঙ কার্যকর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও এডাব অর্থবহ ভূমিকা পালন করেছে। সঙস্থাটি এনজিো কার্যক্রমের সমন্বয়সা্ধন, এনজিোদের কাজের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি, সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরী এবঙ তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্যে কেৌশলগত সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে দূর্যোগ মোকাবেলা, দারিদ্র্য বিমোচন, সরকারি সেবায় জনগণের অভিগম্যতা বৃদ্ধি ও কৃ্ষি উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে সরকারকে অর্থবহ সহায়তা দিয়ে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দৃঢ়ভাবে আস্থাশীল একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এডাব বরাবরই গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিকাশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছে। সর্বপরি, এনজিওদের স্বার্থ সুরক্ষা এবঙ এই সেক্টরটিকে দারিদ্র্য বিমোচনে ও দরিদ্রদের ক্ষমতায়নের উপযোগী পগতিশীল একটি খাত হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এডাব-এর ভূমিকা দেশেবিদেশে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও প্রশঙসিত। এক নজরে এডাব এর সাফল্য সমন্বয়কারী সঙস্থা হিসেবে এডাব-এর ভূমিকা স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ দেশের এনজিওর ইতিহাস আর এডাব-এর ইতিহাস পরষ্পর অবিচ্ছেদ্য। এডাব-এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ এ্যাডভোকেসির ফলে অর্জিত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সা্ফল্যঘুলো হলো: - এনজিো বিষয়ক ব্যুরো প্রতিষ্ঠা; - সরকার-এনজিো কন্সালটেটিভ কাউন্সিল (জিএনসিসি) প্রতিষ্ঠা; - সর্বপর্যায়ে সরকার-এনজিও সমন্বয়; - পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন ও সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা; - জাতীয় পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা; - সামাজিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম; - ভোটার সচেতনতা কার্যক্রম; - পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন এবঙ ক্সুদ্র জাকিগোষ্ঠীর অধিকার; - সেক্টোরাল বডি বা খাতভিত্তিক সমন্বয় সঙস্থা গঠনে সহায়তা; -বেসরকারী উন্নয়ন সঙস্তাসমূহের আচরণ বিধি প্রণয়ন; লক্ষ্য: একটি ন্যায় ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মান যা হবে পরিবেশগতভাবে নির্মল এবঙ দারিদ্র, নারী-পুরুষসহ সকল প্রকার বৈষশ্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত। উদ্দেশ্য: একটি টেকসই ও শক্তিশালী এনজিো সেক্টর প্রতিষ্ঠায় সহায়তা কার যা ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও নারী-পুরুষ সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

NGO সমূহ