- সেবা সমূহ
- প্রকল্প সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
আসক্ত পূনর্বাসন সংস্থা (আপস)
আসক্ত পূনর্বাসন সংস্থা (আপস) সম্পর্কে
‘‘আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা (আপস)’’ একটি অরাজনৈতিক বহুমুখী সমাজ কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। ইহা বাংলাদেশের মাদকসেবী/মাদকাসক্তদের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা সেবায় একটি জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ স্ব-উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর,ঝাউতলা, মিঠুরমোড়, রাজশাহীতে এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ ইং সনের প্রথম দিকে ৫ জন মাদকাসক্ত নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। ২০০১ ইং সন পর্যন্ত অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির ঈর্ষান্বিত সাফল্য সুধী মহলে বেশ প্রশংসিত হয়। গতানুগতিক সাফল্যের এই অব্যাহত ধারা অভিভাবক মহল ও মাদকাসক্তদের দৃষ্টি গোচর হয়। ‘‘আপস’’ এর উত্তরোত্তর সাফল্য দেখে অভিভাবক মহল তাদের মাদকাসক্ত সন্তান ও মানসিক রোগীদের মাদক গ্রহণের ফলে জেল খানায় বা গৃহবন্দী না রেখে ‘‘আপস’’-এর দরজায় দিন দিন (Knock) করতে থাকে । পরবর্তীতে ২০০২ ইং সন থেকে ‘‘আপস’’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীর সাথে পার্টনারশিপ হিসেবে ফান্ড গ্রহণ করত: সফলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। উল্লেখ থাকে যে, বর্তমান গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে সেভ দ্যা চিলড্রেন এর ব্যবস্থাপনায় এইচআইভি প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। এ প্রকল্পে অধিভুক্ত হয়ে ‘‘আপস’’ প্রতি মাসেই ১৫-২০ জন মাদকসেবীর চিকিৎসা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে মাদকের ধরণ অনুযায়ী মাদকাসক্তরা এখানে চিকিৎসা গ্রহণ করছে। মাদকাসক্তদের দীর্ঘ মেয়াদী ইনডোর চিকিৎসা প্রদানের পর তাদের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য পরিবারে ও সমাজে ফিরিয়ে দেওয়া এবং তাদের স্বাবলম্বী করাই আপসের মূল উদ্দেশ্য।
এইচআইভি ও এইডস প্রতিরোধে আপস এর অগ্রযাত্রা:
উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ (সুইয়ের মাধ্যমে মাদক ব্যবহারকারী) জনগোষ্ঠীর মাঝে ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা আপস গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশের সহযোগিতায়,সেভ দ্যা চিলড্রেন এর ব্যবস্থাপনায় রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলায় কাজ করছে। রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলা ভারত সীমান্ত অধ্যুষিত এলাকা । উক্ত জেলার কিছু চোরাকারবারি তাদের নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে সমাজ তথা দেশ ও জাতিকে অন্ধকারের অথৈ সাগরে ঠেলে দিয়ে অন্যান্য জিনিষ পত্রের সাথে প্রচুর পরিমাণে মাদক জাতীয় দ্রব্য মদ, ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বুপ্রেনরফিন গ্রুপের টিটিজেসিক, লুপিজেসিক বিভিন্ন নামে এই প্যাথেডিন ধরণের মাদক অনায়াসেই কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে মাদক ব্যবসায়ীরা হরহামেশাই বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে এবং আমাদের যুব সমাজকে মরণ নেশার তরীতে আরোহণ করে ওপারের যাত্রীতে রূপান্তরিত করে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ঠিক এরকম একটা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার তিনভাবে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে ১. ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম ২.চাহিদা হ্রাস কার্যক্রম ও ৩.সরবরাহ-হ্রাস কার্যক্রম। যেহেতু কাঁটাতারের বেড়া ভেদ করে কুচক্রী-মহলের প্রচেষ্টায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদকের বিশাল সমাহারে মাদক ব্যবসায়ীরা যুব শ্রেণীর মধ্যে মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সরকারী/ বেসরকারিভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে অধিকতর সচেতনতা-বৃদ্ধির পথ অবলম্বন করে সমাজ তথা দেশকে বাচাতে সরকার বদ্ধপরিকর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আপস সফলভাবে ঝুঁকি হ্রাস ও চাহিদা হ্রাস কার্যক্রম অব্যাহত রেখে বাংলাদেশে এইচ আইভি ও এইডস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নিষ্ঠার সাথে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আপস বর্তমানে রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলায় মোট ১০০৬ জন এইচ আইভি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করছে, যাদের একটু ভুল ঘাতক ব্যাধি এইডস এর জন্ম দিতে পারে।
মিশন: ‘আপস’ প্রাক্তন মাদকসেবীদের সংগঠিত করে আত্ম-কর্ম সহায়ক সংগঠনের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার, মর্যাদাপূর্ণ জীবন, মানব সম্পদ উন্নয়ন ও সক্ষমতা বিকাশে সার্বিক সহযোগিতায় হতে চায় অবিচ্ছেদ্য শক্তি ও কাঙ্ক্ষিত সহযাত্রী।
ভিশনঃ ‘আপস’ প্রান্তিক ও অবহেলিত মাদকসেবী জনগোষ্ঠীর মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার যুব সমাজকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে।