Logo

 
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)
Logo

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সম্পর্কে

বেলা’র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হলো ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত এবং লিঙ্গ সমতার ভিত্তিতে কমিউনিটির ক্ষমতায়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশগত অধিকারের সুরক্ষায় অধ্যয়ন, গবেষণা এবং সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করা। পরিবেশগত অধিকারের সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার, স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পলিসি এডভোকেসি করার মাধ্যমে পরিবেশগত শাসন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন। পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষে আইনগত সহায়তা প্রদান করা। এছাড়াও স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ প্রশাসনের দাবিকে উৎসাহিত করা
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), একটি বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান যা বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও সংরক্ষণের যে আন্দোলন তারই প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা বাংলাদেশের মতো গ্রামীণ কৃষিভিত্তিক দেশের জন্য খুবই যৌক্তিক। বেলা ১৯৯৩ সালে একদল তরুণ আইনজীবীদের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ হিসাবে তার মিশন চালু করেছিল। তখন থেকে ‘বেলা’ পরিবেশ এবং এর বিভিন্ন সম্পদের আইনী সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রতিবদ্ধভাবে কাজ করছে। জনস্বার্থ মামলার মাধ্যমে বেলা’র প্রচেষ্টা দেশে 'পরিবেশগত ন্যায়বিচার' ধারণাকে সত্যিকার অর্থেই গতিশীল করেছে এবং ফলশ্রুতিতে দেশে এখন পরিবেশগত অপরাধ মোকাবেলায় পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইন এবং নীতি প্রণয়নের বিচ্ছিন্ন ধারায় পরিবর্তন আনার জন্য বেলা সর্বদা আইন প্রণয়ন এবং নীতি পরিকল্পনায় ব্যাপক অংশগ্রহণের উপর জোর দিয়েছে এবং সমর্থন করেছে। মানুষের পরিবেশগত অধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবেলায় ‘বেলা’ আইনকে একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। বেলা’র একটি মামলার প্রেক্ষিতে জনস্বার্থ ধারণাটি বিচার বিভাগ দ্বারা স্বীকৃত হয়েছিল যা পরিবেশগত অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে লড়াইয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। ইতিমধ্যে ‘বেলা’ বেশকিছু জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে এবং ইতিবাচয় রায়ও পেয়েছে। বেলা’র প্রধান অর্জনের মধ্যে রয়েছে, সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত 'জীবনের অধিকার’র অংশ হিসেবে 'মানুষের পরিবেশগত অধিকারের স্বীকৃতি'। ভিশন: ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত এবং লিঙ্গ সমতার ভিত্তিতে কমিউনিটির ক্ষমতায়ন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশগত অধিকারের সুরক্ষা। মিশন: পরিবেশগত অধিকারের সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচার, স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণ প্রদান, গবেষণা এবং পলিসি এডভোকেসি করার মাধ্যমে পরিবেশগত শাসন ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনয়ন। পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষে আইনগত সহায়তা প্রদান করা। এছাড়াও স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ প্রশাসনের দাবিকে উৎসাহিত করা। একটিভিটিস: বেলা’র প্রতিটি কাজ একে অপরের পরিপূরক। বেলা’র উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হলো- • গবেষণা এবং প্রকাশনা • জনসচেতনতা তৈরি • আইন ও নীতি বিষয়ক অ্যাডভোকেসি • জনস্বার্থ মামলা(পিআইএল) • ডকুমেন্টেশন এবং লাইব্রেরি • নেটওয়ার্কিং স্বীকৃতি: মানুষের পরিবেশগত অধিকার, প্রাকৃতিক সম্পদ এবং পরিবেশগত ক্ষতি মোকাবেলায় বেলা’র কাজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। • ২০০৩ সালের জুন মাসে বেলাকে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) ‘গ্লোবাল ৫০০ রোল অফ অনার্স’ প্রদান করা হয়। • বেলা ২০০৭ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশ পুরস্কার লাভ করে। • পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কার্যকর নেতৃত্ব প্রদানের জন্য ২০০৯ সালে বেলা ‘সলিম উল্লাহ স্মৃতি স্বর্ণপদক’ লাভ করে। • দেশে পরিবেশ রক্ষা এবং সংরক্ষণে অসামান্য অবদানের জন্য বেলা’র প্রধান নির্বাহী ২০০৯ সালে মর্যাদাপূর্ণ ‘গোল্ডম্যান পরিবেশ পুরস্কার’ লাভ করেন (https://www.goldmanprize.org/recipient/rizwana-hasan/)। • মর্যাদাপূর্ণ মার্কিন ম্যাগাজিন ‘টাইম’ এ ২০০৯ সালের ‘পরিবেশ নায়ক’ তালিকায় বেলা’র প্রধান নির্বাহী’র নাম উপস্থাপিত হয়েছে। • ২০১২ সালে বেলা’র প্রধান নির্বাহী ‘রামন ম্যাগসেসে’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন (https://www.rmaward.asia/awardees/6/year/country/area/issue/sort)। • ২০২০ সালে ‘বেলা’ আইনের শাসন ক্যাটাগরিতে ‘ট্যাঙগ’ পুরস্কার লাভ করেছে (https://www.tang-prize.org/en/owner.php?cat=13)।

 

NGO সমূহ