উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয় বহির্ভূত (ঝরে পড়া এবং ভর্তি না হওয়া ) ৮- ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের জন্য সূযোগ দেয়া এবং আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূল ধারায় নিয়ে আসা। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পর কারিগরী/ মানসম্মত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে উৎপাদনশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

১৫- ৪৫ বৎসর বয়সের নারী ও পুরুষদের এই প্রকল্পের আওতায় সাক্ষরতা প্রদান করা

দুস্থ অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত নারীদের আয় বর্ধক প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক অধিকার বিষয়ে কর্মদ্দ্যোগি এবং ক্ষমতায়িত করা ।

নারী অধিকার সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখা

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও তাদের আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

যুব নারীদের প্লাটফর্ম তৈরীর মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্য দুরীকরণ ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা।প্রকল্প এলাকা - ২১ - ৩০ নং ওয়ার্ড, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী। বাস্তবায়নে - স্বেচ্ছাসেবী বহুমুখী মহিলা সমাজকল্যান সমিতি (এসবিএমএসএস)।সহযোগিতায়- একশনএইড বাংলাদেশ।

কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচী মা’ জাতির সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জাতীয় স্বীকৃতি। কর্মজীবি মা’দের জন্য এই সহায়তা দরিদ্র মা ও শিমুর স্বাস্থ্য পুষ্টির উন্নয়নের সরকার কর্তৃক গৃহিত একটি অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তমূলক কার্যক্রম। যার মাধ্যমে গর্ভধারণকাল থেকে২৪ মাস পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত নগদ অর্থ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেবা প্রদান করা। উল্লেখ্য বাল্যবিবাহ ও যৌতুকের জন্য নির্যাতন রোধ কল্পে শুধুমাত্র ২০ বছরের অধিক বয়সী দরিদ্র কর্মজীবি গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মা’দের ক্ষেত্রে প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকালে এ ভাতা প্রযোজ্য। গর্ভবতী মা’দের শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকে সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সমন্বিত এই কর্মসূচী শহর অঞ্চলে কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহভিল কর্মসূচী হিসেবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কর্মসূচীর আওতায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার ২৮-৩০ নং ওয়ার্ডে ভাতাভোগী নির্বাচন তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদানের লক্ষে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত অত্রসংস্থা মোট ৪১৭জন ভাতাভোগীদের ‍নিয়ে কাজ করার জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করে কার্যক্রম শুরু করেছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকার পিছিয়ে পড়া নারী ও ঝরে পড়া কিশোরীদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের জীবিকায়নে সম্পৃকতা করার লক্ষ্যে ১৯৮৮ সাল হতে এপর্যন্ত ১৭৮ জন পিছিয়ে পড়া নারী ও ঝরে পড়া কিশোরীদের সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তায় হস্তশিল্পের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষন প্রদান করা হয়। ট্রেডগুলো হচ্ছে টেইলরিং, এমব্রয়ডারী, ব্লকবাটিক, এম্বুস সুই সুতার কাজ ইত্যাদি। প্রশিক্ষন শেষে তাদের মধ্যে অধিকাংশ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত সদস্য বিভিন্ন শিল্পকারখানা দোকানে কর্মে সম্পৃক্ত হয়। যেসকল সদস্যদের কর্মে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের পরবর্তীতে তাদের কর্মে সম্পৃককরণের উদ্দেশ্যে এসবিএমএসএস ২০১১ সালে হস্তশিল্প প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করে। এই হস্তশিল্প থেকে নারী ও শিশুদের জন্য বিভিন্ন পোশাক তৈরী করে সংস্থার হস্তশিল্প শো-রুমে রেখে বিক্রয় করে। এটি সংস্থার নিজস্ব অর্থয়নে পরিচালিত হচ্ছে। এই হস্তশিল্পের তৈরী পণ্য দিন দিন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরী করতে সক্ষম হচ্ছে এবং এটি স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে। এছাড়াও হস্তশিল্পের তৈরী পোশাক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরাধীন শো-রুম অঙ্গনা ও জয়িতা, ঢাকায় প্রেরণ করে বিক্রয় করা হচ্ছে। বিভিন্ প্রদর্শনী ও মেলায় স্টল দিয়ে হস্তশিল্প পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে।