- প্রথম পাতা
- প্রকল্প সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
উদ্দীপন এর সেবা সমূহ
বুনিয়াদ
বুনিয়াদ বা Ultra Poor Program (UPP) দারিদ্র সীমার সর্বনিম্ম স্তরে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর জন্য অতিদরিদ্র ক্ষুদ্রঋণ কার্ক্রম। ১ বছর মেয়াদে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে ২০% সার্ভিস চার্জ হিসাবে ঋন বিতরন করা হয়। ন্যূনতম ১৫ দিন গ্রেস প্রিরিয়ড দিয়ে ঋণ আদায় করা হয়। ঋণের সিলিং ২০০০ থেকে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত। সাপ্তাহিক/পাক্ষিকি/মাসিক ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন, সামর্থ বৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে আয়বর্দ্ধণমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা।
বুনিয়াদের সেবাসমূহ :
- বুনিয়াদের গ্রাহকের নিকট থেকে ভর্তি ফি এবং পাশ বাবদ কোন টাকা নেয়া হয় না।
- টাকা সঞ্চয় নিয়ে যে কোন পরিমান করা হয়।
- বুনিয়াদ ঋনের সাভির্স চার্জ ক্রমহ্রাসমান ২০% রেয়া হয়।
- বুনিয়াদ গ্রাহক প্রত্যাহারের সময় সুদে আসলে ফেরত দেয়া হয়।
- ঋন প্রদানের দুই সপ্তাহ গ্রাস পিরিয়ডের পর কিস্তি নেয়া হয়।
- বুনিয়াদ গ্রাহকের ঋন চলাকালে মারা গেলে ঋনের অবশিষ্ট টাকা মউকুফ করা হয়।
- বুনিয়াদ ঋন গ্রহীতা মারা গেলে দাফন কাফন বাবদ তাৱক্ষনিক ভাবে মৃত গ্রাহকের অভিভাবকের নিকট ১০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
- বুনিয়াদ মারা গেলে জমাকৃত সকল ধরনের সঞ্চয় ফেরত দেয়া হয়।
- বুনিয়াদ ঋনের টাকা অগ্রিম পরিশোধ করলে রিবেট প্রদান করা হয়।
- বুনিয়াদ গ্রাহকের ছেলে মেয়েদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।যেমন জিপিএ ৪.০০ থেকে জিপিএ ৪.৯৯ পর্যন্ত ১০,০০০ এবং জিপিএ ৫.০০ প্রাপ্তদের ১৫০০০ টাকা প্রদান কর হয়।
- বুনিয়াদ গ্রাহক দের ঘরবাড়ী মেরামত, স্যানিটেশন তৈরী এবং ছেলে মেয়েদের জন্য ৪% সেবামুল্যে ঋন প্রদান করা হয়।
অগ্রসর
‘অগ্রসর’-এর অধিনে উদ্দীপন সেবাগ্রহীতাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতে ঋণ প্রদান করে খাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংক থেকে প্রক্রিয়াগত কারণে গরীব ও অক্ষরজ্ঞানহীন-অর্ধশিক্ষিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ীদের ঋণ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ছোট-ছোট ব্যবসার জন্য অল্প টাকার ঋণ প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব¡ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম।
দারিদ্র্যপ্রধান জনপদের দারিদ্র্য ঘোচাতে উদ্দীপন ২০০৩ সালে সীমিত আকারে ‘ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ’ কার্যক্রম শুরু করে এবং ২০০৭ সাল থেকে ‘ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ’ নিয়ে ব্যপকভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
‘অগ্রসর’-এর অধিনে ঋণের সিলিং ৪১০০০ থেকে ১০০০০০০ টাকা পর্যন্ত। ন্যূনতম ১৫ দিন গ্রেস প্রিরিয়ড দিয়ে সাপ্তাহিকভাবে ৪৬/৯১ এবং মাসিক ১২/২৪ কিস্তিতে ঋন আদায় করা হয়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি সহায়তা প্রদান, উদ্যোগের সম্প্রসারণ ও উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
অগ্রসরের সেবা সমুহ:
১. অগ্রসর ঋন গ্রহীতাকে ৫% সঞ্চয়ের বিপরীতে ঋন প্রদান করা হয়।
২. অগ্রসর গ্রাহক মারা গেলে ঋনের ২০০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋনের টাকা মউকুফ করা হয়।
৩. অগ্রীম ঋন পরিশোধে ঋনের রিবেট প্রদান করা হয়
৪. সহজ শর্তে ডাউনপেমেন্ট নিয়ে ১/২ দিনের ভিতরে CNG ঋনের সেবা প্রদান করা।
৫.অগ্রসর ঋনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। যেমন : দোকানপাট, CNG, অটো, আবাসিক হোটেল, ইত্যাদি।
একনজরে অগ্রসরের সফলতা :
- জুন ২০১৪ পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জীভূত-
- ঋণ নিয়েছেন ৯৭,৪৮১ জন;
- ঋণ বিতরণের পরিমাণ ৮৭৪.১৯ কোটি টাকা;
- প্রতিটি ঋণের গড় আকার ৮৯.৬৮ হাজার টাকা;
- আদায়ের হার ৯৯.১৪%;
উল্লেখ্য, এসব ঋণ বিভিন্ন কৃষি ও অকৃষি ভিত্তিক খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সুফলন
কৃষি খাতে উদ্দীপনের কার্যক্রমের নাম ‘সুফলন’। দুই ভাগে এই কার্যক্রম চলছে।
১. এ্যাগ্রিকালচার বেইজ্ড মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম এবং
২. মৌসুমী ঋণ।
সুফলনের সেবা সমুহ:
১. কৃষি খাতে সারা বছর ব্যাপী ঋন প্রদানের সুযোগ আছে।যেসন(থান চাষ, আম চাষ, আলু চাষ,ভুট্রা চাষ, কলা চাষ,মসলা চাষ, পান চাষ, সবজি চাষ)
২. AMC ঋন এককালীন বা ছয় মাস মেয়াদে দেয়ার সুযোগ আছে।
৩. গরু মোটাতাজা করার জন্য ছয় মাস মেয়াদে বা একালীন মেয়াদে ঋন দেয়া হয়।
৪. গরু অসুস্থ হলে সরকারী ভেটেনারী ডাক্তার দারা চিকিৱসা করা হয়।
৫. গরু/গ্রাহক মারা গেলে সমুদোয় ঋনের টাকা মাউকুফ করা হয়।
১. এ্যাগ্রিকালচার বেইজ্ড মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রাম :
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকগণ এ্যাগ্রিকালচার বেইজ্ড মাইক্রোক্রেডিট প্রোগ্রামের আওতায় ঋণ পান। শস্য, মৎস সম্পদ, গবাদি পশুসম্পদ, কৃষি উপকরণ, কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতকরণ ইত্যাদি খাতে এই ঋণ প্রদান করা হয়। ০১ জুলায় ২০১৩ তারিখ থেকে ৩০ জুন ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত ২২টি জেলার ৮৩ উপজেলাস্থ ২৬,৮০৫ জন সেবাগ্রহীতাকে উপরুল্লিখিত খাত গুলোতে সর্বমোট ৯৯.৫৭ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। আদায়ের হার ৯৯.২৫%।
এএমসিপি’র মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র্য কমানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিৎ করা। ১৯৯৫ সালে খুব ছোটো আকারে কৃষিতে যাত্রা শুরু উদ্দীপনের। বসতভিটায় সবজি চাষ দিয়ে শুরু। দাউদকান্দি, চন্দনাইশ, ভেড়ামারা ও দৌলৎপুর- মাত্র এই চারটি উপজেলার সর্বমোট ২৯টি ইউনিয়নে ২০,২৫০ জন সেবাগ্রহীতার বসতভিটায় ছোট ছোট সবজি বাগান করা ছিলো কৃষি ক্ষেত্রে উদ্দীপনের প্রথম অভিজ্ঞতা। দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের পুষ্টি চাহিদার কথা বিবেচনা করে মূলত সে কাজ গুলো করা হয়েছিলো। আর ৯৯% সেবাগ্রহীতাই ছিলেন মহিলা। সেসময় মাত্র ১৩৫ জন সেবাগ্রহীতা উদ্দীপনের সহযোগিতায় পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পেশা হিসেবে প্রদর্শনী বাগান পরিচালনা করতেন।
এভাবে এগুতে থাকে সময়। বাড়তে থাকে কৃষির উপর উদ্দীপনের বহুমাত্রিক অভিজ্ঞতা। কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়তে থাকে উদ্দীপনের। ঠিক তেমন সেবাগ্রহীতাদের জ্ঞান ও দক্ষতাও বাড়াতে থাকে সমান তালে। পাশাপাশি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী কৃষিভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে উদ্দীপনের সক্ষতা তৈরী হতে থাকে। এসময়ে সরকারের বিভিন্ন কৃষি মেলায় উদ্দীপন অংশ নিতে থাকে।
২. মৌসুমী ঋণ’ কার্যক্রম :
উদ্দীপন লক্ষ করে, গ্রামের মানুষের হাতে সময় মতো টাকা না থাকলে দারিদ্র্যতা থেকে বের হতে পারে না এবং উৎপাদন ও উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির সাথে মিল রেখে লোন পরিশোধের সুযোগ থাকলে গ্রামের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের জন্য সুবিধা হয়। ফলে উদ্দীপন ২০০৬ সালে ‘মৌসুমী ঋণ’ কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ৩টা শাখার মাধ্যমে ২৫৩ জন সেবাগ্রহীতাকে সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্দীপন কাজটা শুরু করে।
০১ জুলাই ২০১৩ তারিখ থেকে ৩০ জুন ২০১৪ তারিখ পর্যন্তÍ ২১টি জেলার ৯৩ উপজেলাস্থ ৩২,২৮৩ জন সেবাগ্রহীতাকে উদ্দীপন সর্বমোট ৮০.৯৫ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করেছে। আদায়ের হার ৯৯.১৮%।
মৌসুমী ঋণের মূল উদ্দেশ্য সময় মতো কৃষককে অর্থ যোগান দেয়া। বিশেষকরে মহিলাদের জন্য টেকসই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ও পারিবারিক আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখা।
জাগরণ
`জাগরণ‘-এর আওতায় উদ্দীপন ‘গ্রামীন ও নগর ক্ষুদ্রঋণ’ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি উদ্দীপনের মূল কার্যক্রমের অন্যতম।
উদ্দীপন নভেম্বর ২০১৪ পর্ন্ত ৪,২১,০৫৯ জন সেবাগ্রহণকারীকে গ্রামীন ও নগর ক্ষুদ্রঋণ’ কার্যক্রমের আওতায় ৪২.৪৯৭.৪৪ মিলিয়ন টাকা ঋণ প্রদান করেছে। আদায়ের হার ৯৯.৪৪%।
জাগরণের অধীনে ঋণের সিলিং ৪০০০ থেকে ৪০০০০ টাকা পর্যন্ত। ন্যূনতম ১৫ দিন গ্রেস প্রিরিয়ড দিয়ে সাপ্তাহিকভাবে ৪৬ কিস্তিতে ঋন আদায় করা হয়। আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র বিমোচন, সামর্থ বৃদ্ধি ইত্যাদি বিশেষ করে নারীদেরকে ক্ষমতায়ানের লক্ষ্যে আয়বর্দ্ধণমূলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা। তাছাড়া ইস্যুভিত্তিক সভার মাধ্যমে সংগঠিত গ্রাহকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিশু পুষ্টি, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, নারী অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
জাগরনের সেবাসমূহ :
- ৫% সঞ্চয় নিয়ে ঋন প্রদান করা হয়।
- ক্রমহ্রাসমান ২৫% সেবা মুল্যে ঋন প্রদান করা হয়।
- জাগরন গ্রাহকের প্রধান উপার্জন ব্যাক্তির মধ্যে কেউ মারা অথবা পঙ্গুত্ব বরন করলে এবং স্থায়ী ভাবে কর্মক্ষমতা হারালে ঋনের অবশিষ্ট টাকা মউকুফ করা হয়।
- গ্রাহক এবং গ্রাহকের স্বামী মারা গেলে দাফন কাফনের জন্য তাৱক্ষনিক ভাবে ৫০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
- গ্রাহক সন্তান প্রসবকালীন,সিজার, পিত্তথলির পাথর, এবং এ্যাপেন্ডিসাইড এর অপারেশন করলৈ ৩০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
- ঋন গ্রহীতা মহিলার দোকান ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেলে পুন:প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
- জাগরন গ্রাহকের ছেলে মেয়ে SSC/HSC তে GPA 5.00 পেলে তাদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে ৫০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল, ১৯৯১ সাল ও ১৯৯৪ সাল ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে উদ্দীপনের জন্য মাইলস্টোন। ১৯৮৯ সালে উদ্দীপন কুমিল্লার দাউদকান্দি, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এবং পিরোজপুর সদর শাখার মাধ্যমে ১,৫৬২ জন দুস্থ গরীব নারী সদস্য নিয়ে সঞ্চয় কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৯১ সালে ১৭,০৯,৫২৭ টাকার সঞ্চয় তহবিল থেকেই মাত্র ৩২২টি পরিবারকে ঋণ দেয়ার মধ্য দিয়ে উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম যাত্রা শুরু হয়। আর ১৯৯৪ সাল উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসারের ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট বলা চলে। ঐ সালেই পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে উদ্দীপনের যে যাত্রা শুরু, তা বর্তমানে ২২০টি শাখা অফিসের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে ও শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।