- সেবা সমূহ
- প্রকল্প সমূহ
- কর্মকর্তা বৃন্দ
- তথ্য
- ফটোগ্যালারি
- অর্গানোগ্রাম
- পরিচালক বৃন্দ
- যোগাযোগ
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা
- নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- ডাউনলোড
- নোটিশ
- ত্রান
- রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য
- গভর্নিং বডি
- নির্বাহী পরিষদ
- কর্মকর্তার তথ্য
- কর্মী সংক্রান্ত তথ্য
- তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তার তথ্য
- পরিচালক এর তথ্য
- প্রতিবেদন
তিলোত্তমা মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
তিলোত্তমা মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সম্পর্কে
তিলোত্তমা মহিলা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা একটি বেসরকারী অলাভজনক সেবামুলক প্রতিষ্ঠান যা ১৯৭৮ সালে বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ জুবাইদা খাতুনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চত মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন করা ।একটি দেশেরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পুর্ব শর্ত হলো অর্থনৈতিক কাজে নারী পুরুষের সমান অংশগ্রহন। শুধুমাত্র পুরূষদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কখনই কাংক্ষিত লক্ষ্য মাত্রায় পৌছা যায় না।নারীদের অর্থনৈতিক কর্র্মকান্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া।
যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি ভংগুর অর্থনীতি ।রাস্তাঘাট, অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল সব কিছুই ছিল অচল এবং করুন দর্দশাগ্রস্থ। শিশু স্বাস্থ্য ও মাতৃ স্বাস্থ্যর অবস্থা ছিল করুণ ।মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার ছিল অনেক । একজন চিকিৎসক হিসাবে ডাঃ জুবাইদা খাতুন বিষয় টি উপলব্ধি করেন এবং দুখী , গরীব মানুষের জন্য বিনামুল্যে এবং স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি এ সংস্থার কাযর্ক্রম শুরু করেন। সেখান থেকে সংস্থার যাত্রা শুরু । রাজশাহী জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগিতায় রাজশাহী জেলার চারটি পৌর এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের সেবা প্রদান ও মটিভেশনের কাজ শুরু করে।সংস্থা শেয়ারিং ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি দাতা সংস্থার নিকট থেকে একটি সল্পমেয়াদী অনুদান পায় যা পঃপঃ ইনজেকটেবল পদ্ধতি সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে।পরে পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনাল নামক দাতা সংস্থার নিকট থেকে আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতার মাধ্যমে সংস্থা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সিবিডি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
১৯৯০ সালের পর সংস্থার কর্মাএলকা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে কাজের গুনগত মান ও কর্মসুচীর সয়ম্ভরতা অর্জনের বিষয়টি জোরালো ভাবে গুরুত্ব পায়। সে লক্ষ্যে সংস্থা স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের বিনিময়ে সেবা মূল্য গ্রহন করা শুরু করে । এলাকার জনগনের নিকট সংস্থার গ্রহন যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য সংস্থা ১৯৯০ সালে পবা উপজেলার বারই গ্রামে একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করে । সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে নওদাপাড়ায় ৮ কাঠা জমি ক্রয় করা হয় এবং ২০০২ সালে জাপান সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় উক্ত জমির উপর দোতলা বিশিষ্ট একপি ক্লিনিক কাম ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয় । পরে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের তৃতীয় তলার কিয়দাংশ সমপ্রসারন করা হয় যেখানে ডেলিভারী রোগীর জন্য সাধারন ওয়ার্ড ও কেবিন ব্যবস্থার সমপ্রসারন করা হয় ।
নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করার লক্ষ্যে সংস্থা স্থাপিত হয়। সফলতার সঙ্গে সংস্থার কাংখিত লক্ষে পোঁছার জন্য সংস্থার জন্ম লগ্ন থেকে বেশ কিছু কর্র্মসূচী পরিচালনা করে আসছে তার মধ্যে গণশিক্ষা,মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা এবং আয় বর্ধক কাযর্র্ক্রম উল্লেখযোগ্য।
সংস্থার ভিশনঃ
সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করাই হলো সংস্থার মূল লক্ষ্য।
সংস্থার মিশনঃ
নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করাই হলো সংস্থার মিশন। সংস্থা বিশ্বাস করে যে, শিক্ষা , নারী - পুরুষ ও শিশুদের উন্নত স্বাস্থ্য সেবা ব্যতিত সমাজের আর্থ সামাজিক অবস্থা , পরিবার তথা সমাজের সূখ - শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব নহে।