Logo

 

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সেবা সমূহ

নিবাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলাধূলার সামগ্রী বিতরণ ২০১৬

ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, পবা এডিপি গত জুন ২০১৬ মাসে ১৫টি নিবাচিত বিদ্যালয়ে খেলার সামগ্রী বিতরণ করে। বিদ্যালয় সমূহের নাম গুলো হলো: ১. অধ্যাপক নাজিবর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ২. কণহার উচ্চ বিদ্যালয় ৩. শীতলাই প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪. দামকুড়া হাট উচ্চ বিদ্যালয় ৫. বাগসারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৬. দুরাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭. ভোগরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮. দারূসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯. দারূসা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১০. বাকসইল দাখিল মাদ্রাসা ১১. দশণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১২. তেঁতুলিয়াদাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৩. কসবা উচ্চ বিদ্যালয় ১৪. খোলাবনা আলিম মাদ্রাসা ১৫. মুরালিপুর উচ্চ বিদ্যালয়

২৫০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে আয়বৃদ্ধিমূলক কাযক্রম/কমসূচী ২০১৬

ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ, পবা এডিপি কতৃক ২০১৬ আথিক বছরে মোট ২৫০ জন নিবাচিত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০০০ ছাগল, ২৫০ ভেড়া এবং ২৫০০ মুরগী বিতরণ করে। প্রতিটি নিবাচিত পরিবারের সদস্যকে ৪টি করে ছাগল, ১২৩ জনকে ২টি করে ও ১ জনকে ৪টি মোট ১২৪ জনকে ভেড়া এবং ১০টি করে ২৫০ জনকে (৯টি মুরগী ও ১টি মোরগ) বিতরণ করা হয়। এই কাযক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে পারিবারিক আয়বুদ্ধির মাধ্যমে সচ্ছলতা আনয়ণ ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা।

ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ পবা, তানোর ও গোদাগাড়ী এডিপি এই অথ বছরে এ পযন্ত অতিদরিদ্র মানুয়ের মধ্যে স্বল্প খরচে সবমোট ১০৬৫ টি স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা বিতরন করেছে।এর মধ্যে পবা উপজেলায় ৪৭০টি, তানোর উপজেলায় ৩৬০টি এবং গোদাগাড়ী উপজেলায় ২৩৫টি রিং ও স্লাব ওয়াল্ড ভিশনের কম এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের মধ্যে উপকরন সমূহ বিতরন করা হয়।

জীবন পথের বাঁকে হোঁচট খেলেও মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় আশা আক্তার (বেবি)

“আমার সিদ্ধান্তটা ভূল ছিল” বলছিলেন আশার মা মোসাঃ আয়েশা বেগম।আশা আক্তার বেবি যখন মাত্র (১২) বছর বয়স সবে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ছে।অভাবের তাড়নায় মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে না পেরে নিরুপায় হয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন।কিন্তু ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি ও এলাকার জনসাধারণের একান্ত প্রচেষ্টায় আশার বিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়। আশা আক্তার বেবির জন্ম তানোর উপজেলার তালন্দ ই্উনিয়নের কালনা গ্রামের একটি অতি দরিদ্র পরিবারে।আশা তার বাবা মায়ের বড় সন্তান।সে বর্তমানে নারায়নপুর-২ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট ভা্ই আরিফ আনন্দ স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে দারিদ্রতার কারণে আর এগোতে পারেনি। তাদের নিজেদের কোন জমি না্ই, তা্ই নানার ভিটায় ঠায় নিতে হয়েছে। ২০১০ সালে তার বাবা বকুল শেখ তাদের দুই ভাই-বোন ও মাকে ফেলে আর একটা বিয়ে করেছে এবং সেখানেই বাস করে। বাবা তাদের খরচাপাতি দেয়া তো দূরের কথা কোন খোঁজ খবর নেই না। মা আয়েশা বেগম অন্যের জমিতে কাজ করে এবং বর্তমানে আরএমপিতে (রোড মেরামত প্রজেক্টে) কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। আশার প্রত্যয় ছিল সে লেখাপড়া করে একদিন বড় হবে আর দশটা মেয়ের মত চাকুরী করে সংসারের অভাব দূর করবে মাকে একটু বিশ্রাম দিবে।কিন্তু তার বাবা ২০১০ সালে যখন তাদের ছেড়ে চলে যায় তখন তাদের সংসারের প্রদ্বীপ নিভূ নিভূ করে জ্বলছিল। সংসারের হাল সামলাতে না পেরে তার মা তার বিয়ে ঠিক করলে সে বিয়ে না করার জন্য মায়ের কাছে কাকুতি মিনতি করতে থাকে এবং মাকে বোঝাতে থাকে বিয়ে না করার জন্য।সে সময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি বাল্য বিবাহ ও এর ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে কালনা গ্রামে সেশনের আয়োজন করে। সেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ধারনা গ্রামবাসীকে বাল্য বিবাহ ও এর ক্ষতিকর দিক সচেতন করে তোলে। সেশনে আগত অংশগ্রহনকারীরা আশার বিয়ে বন্ধ করার জন্য তার মাকে বোঝাতে থাকেন। এক সময় উপায় না দেখে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি কে বিষয়টি অবহিত করে। এলাকার উৎসাহী জনতা ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি এর যৌথ উদ্যোগে আয়েশা বেগম কে তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে কারানো থেকে বিরত করা হয়। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি আশা আক্তার বেবিকে ২০১৩ সালে শিক্ষা প্রকল্প থেকে বৃত্তি প্রদান করে তার পড়ালেখা সচল রাখে। আশা এবার জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৭% পাশ করেছে। সে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, পেয়েছে নতুন জীবন। বড় হয়ে আশা একজন পুলিশ অফিসার হতে চায়। বন্ধ করতে চায় বাল্য বিবাহ বাঁচাতে চায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের, যাদেরকে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে মৃত্যু মুখে ফেলে দেয়া হয়। আশার স্বপ্ন পূরণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি সব সময় তার এবং তার পরিবারের পাশে থাকবে।তাদের সহযোগিতা করার জন্য সে ও তার পরিবার ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, তানোর এডিপি এর নিকট কৃতজ্ঞ।

শীতের কষ্ট দূরীকরণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর কম্বল বিতরণ

শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াতে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এডিপি, শিশু, বিধবা ও বৃদ্ধদের শীতজনিত অসুস্থ্যতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দেওপাড়া, গোদাগাড়ী এবং রিশিকুল ইউনিয়নের ২০০ (দু্ইশত) জন অসহায় শিশু, বিধবা ও বৃদ্ধদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। অন্যদিকে ঠিক একই উদ্দেশ্যে তানোর এডিপিও ৮০০ জনের মাঝে কম্বল বিতরণ করে। উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ মসিরুজ্জামান ভূইয়া- উপজেলা নিবাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব, সমবায় সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারী ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ভিশনের বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এডিপি’র এ্ উদ্যোগকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ এ কর্মসূচীকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে এই ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান।

পটল চাষের মাধ্যমে দারিদ্রতা জয়

কামাল লাকড়া (৩৫), রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত গোদাগাড়ী উপজেলার ঝিরকুপাড়া (গোদাগাড়ী UP) একজন দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুর। বিগত দিনগুলিতে সে অন্যের জমিতে দিনমজুরী কাজ করত। অভাব অনাটনের মধ্য দিয়ে চলত তার দিনগুলি। স্ত্রী মুক্তি এক্কা ও দু্’মেয়ে মনিকা লাকড়া (১৩) ও মল্লিকা লাকড়াকে (৮) নিয়ে তাদের সংসার। শত অভাবের মধ্যেও কামাল তার মেয়েদের স্কুলে পিড়ালেখা করাচ্ছেন। পড়ালেখার বিষয়টি আরও সহজ হয়েছে যখন বড় মেয়ে মনিকা লাকড়া ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের স্পন্সরশীপ প্রোগ্রামের অর্ন্তভূক্ত হয়েছিল। শিশু অধিকার বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতনতা, বিভিন্ন সহায়তা/উপহার, শিক্ষা সামগ্রী (খাতা, কলম, জ্যামিতি বক্স, পেন্সিল, শার্পনার, স্কুল ব্যাগ) তার মেয়েদের পড়ালেখার খরচ অনেকটা লাঘব করেছে।সীমিত আয় দিয়ে সংসার চালানো কামালের জন্য খুব কষ্টের ছিল। এর জন্য কামাল দিনমজুর হলেও মাঝে মধ্যে জমি বন্ধক নিয়ে ধান চাষ করে সংসারের অভাব নামক ঘোড়াটার লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছে অনেকবার ।কিন্তু অভাবের বেড়াজাল থেকে কখনও বের হতে পারেনি এবং কখনও তার পরিবারের জন্য পুষ্টিকর খাবার, মেয়েদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড়ও কিনতে পারেনি। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এডিপি ২০১৫ সালে পটল চাষের জন্য ২৪ টি প্রদর্শনী প্লট করার প্রকল্প হাতে নেয়।স্পন্সরশীপ পরিবারভূক্ত হওয়ার কারণে একজন আগ্রহী কৃষক হিসেবে কামাল লাকড়া এ প্রকল্পে মনোনিত হন এবং এর উপর তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। পরামর্শ অনুযায়ী পটল চাষ করার জন্য একখন্ড জমি বন্ধক নেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের, গোদাগাড়ী এডিপি থেকে প্রাপ্ত পটলের চারা, বেড়ার জন্য তার, বাঁশ আর সামান্য কিছু মজুরী সহায়তা নিয়ে পটল চাষের যাত্রা শুরু করেন। কামাল নিজে, স্ত্রী মুক্তি ও মেয়েদের নিয়ে অকান্ত পরিশ্রম করে সবচেয়ে সফল প্রদর্শণী প্লট গড়ে তোলেন । পটল চাষ করে তিনি প্রায় ৪৫ মন ফলন পেয়েছেন। নিজের খাওয়া, প্রতিবেশীদের দেয়া বাদ দিয়ে প্রায় ৪০,০০০.০০ (চল্লিশ হাজার) টাকার পটল বিক্রি করেছেন। তিনি ১৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে পটল বিক্রি করেন।সংসার ও পটল চাষের খরচ, বন্ধকীর খরচ এবং মেয়েদের পড়ালেখার খরচ বাদ দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছেন যার মূল্য ১৭,০০০.০০ (সতের হাজার টাকা)।বর্তমানে পটল ক্ষেত পরিস্কার করেছেন। এবার তার আর চারা লাগবে না শুধু পরিচর্চা করলে আগামীতে আবার তা থেকে উৎপাদন পাবেন যা তার সংসারের অভাব ঘুচাতে সহায়তা করবে।কামালের সাফল্যে আগ্রহী তার এলাকাবাসীরাও। অতিরিক্ত পানি ব্যবহারের ফলে ধান চাষের বেড়াজাল থেকে কৃষকরা যখন বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন ঠিক তখন কামালের এ সাফল্য এলাকাবাসীকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন কিছু করার। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, গোদাগাড়ী এডিপি, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসের সহায়তাকে কামাল সবসময় স্মরণ করেন।আগামী দিনেও একজন সফল চাষী হিসেবে আত্নপ্রকাশ করা এবং সন্তানদের সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করার আশাবাদী কামাল লাকড়া।

আমি একটি স্বপ্ন দেখি শিল্পী বেগম (৩০) হরিপুর ইউনিয়নের দবিরপুর গ্রামে বাস করে। তার স্বামী তৈলম আলী (৪০) একজন কৃষক ও দিনমজুর, অন্যের জমিতে কাজ করে। তাদের ছেলে জীবন (১৫) কসবা স্কুলে নবম শ্রেণীতে ও মেয়ে মায়া খাতুন (৮) বেড়পাড়া প্রাইমারী স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াশুনা করছে। আজ থেকে অনেক আগে পরিবারে তারা পুষ্ঠিকর খাদ্য খাওয়া তো দূরে থাক তিন বেলা পেট ভরে খাবার খেতে পারতনা। পুষ্ঠিকর খাবার তৈরী করার জ্ঞানও শিল্পী বেগম ও তার পরিবারের ছিলনা। এমনকি বসবাসের জন্য উপযুক্ত ঘর বা আশ্রয় ছিলনা।তাই হরহামেশাই বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত I mvaviY রোগ যেমন ডাইরিয়া, আমাশয় ও জ্বর লেগেই থাকত। অন্যদিকে শিশুদেরকে স্কুলে পাঠানোরও কোন সক্ষমতা তাদের ছিলনা। সুতরাং তাদের সন্তানেরা পরীক্ষায় ভাল করতে ব্যথ হতো। শিল্পী বেগম এহেন সমস্যা দূরকরণের সমাধান খুঁজতে শুরু করল। ঠিক সেই সময় সে ওয়াল্ড ভিশনের কাযক্রম সম্পকে শুনতে পেল এবং অফিস কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করল এবং নিজের সমস্যা সম্পকে খুলে বলল। অতপর ওয়াল্ড ভিশন তার ছেলেকে একটি প্রকল্পের সাথে যুক্ত করল এবং তখন থেকেই তার জীবনের স্বপ্ন পুরনের আশা সঞ্চারিত হলো। সে ওয়াল্ড ভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন কমশালা, ওরিয়েন্টেশন, সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। সে বিশেষ করে সেলাই প্রশিক্ষণ ও ওয়াল্ড ভিশন কতৃক বিতরণকৃত একটি সেলাই মেশিন গ্রহন করে। ফলে, সে এখন নিজে থেকেই আয় রোজগার করার সক্ষমতা অজন করেছে, নিজের ও এলাকার পরিচিত জনদের পোষাক বানাচ্ছে এবং নতুন পোষাক তৈরি করে বিক্রি করছে। অধিকন্তু সে গরু লালন পালনের একটি প্রশিক্ষণও ওয়াল্ড ভিশনের কাছ †c‡q‡Q এবং ওয়াল্ড ভিশন থেকে একটি ষাড় গ্রহন করেছে। তাই সে ওয়াল্ড ভিশনের কাছে কৃতজ্ঞ। সে গরুকে উপযোগী করে বিক্রি করে ২৪,০০০ টাকা cvq এবং ঐ টাকা দিয়ে একটি গাভী ক্রয় করে। তিনি লব্দ জ্ঞান ব্যবহার করে গাভীটি সঠিকভাবে লালন-পালন করেন।বতমানে গাভিটি একটি বাচ্চা দিয়েছে এবং সে প্রতিদিন দুই লিটার দুধ বিক্রি করে দৈনিক ৭০ টাকা উপাজন করে। তিনি উপাজিত টাকা দিয়ে আরও দুইটি ছাগল ক্রয় করেছেন পাশাপাশি টিন কিনে বসত ঘর মেরামত করেছেন যেখানে তারা সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। শিল্পী বেগম বতমানে একটি উন্নয়ন দলেরও সক্রিয় সদস্য ও নিয়মিত স্ঞ্চয় জমা করেন। পরিবারের স্বাস্থ্য ও পুষ্ঠিকর খাবার নিয়ে শিল্পি বেগম এখন খুবই সচেতন I my›`ifv‡e জীবন যাপন করছে। তারা স্বামী-স্ত্রী দুজজনই নিরক্ষর হলেও শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে খুবই সচেতন ও শিশুদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাচ্ছে। সে তার ছেলেকে ভবিষ্যতে ডাক্তার বানাতে খুবই আগ্রহী এবং মেয়েকে একজন শিক্ষিত নাগরিক ও সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে চান যেন তাকে শিশু বয়সে বিয়ে দিতে না হয় যেমনটি তার জীবনে ঘটে ছিল | সে ওয়াল্ড ভিশনের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ সে জীবনের মানে খঁজে পেয়েছে।

গরীব শিশুদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও পোষাক বিতরন

পবা উপজেলা, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও প্রথম আলোর সাড়া প্রদানের মাধ্যমে এবং উপজেলা নির্বাহী নেতৃত্বে গত ১৫ ই জুলাই ২০১৫ সালে চরখিদির গ্রামে গরীব শিশু তথা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ঈদ উদযাপন উপলক্ষ্যে খাদ্য সামগ্রী ও পোশাক বিতরন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাননীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এডিপি ম্যানেজার ও প্রথম আলো প্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবগ।

 

NGO সমূহ